ডিজিটাল মার্কেটিং আমাদের জীবনে এখন এক বড় চ্যাপ্টার। এই ডিজিটাল মার্কেটিং এই মাধ্যমেই আপনি এবং আপনার প্রোডাক্ট সারা পৃথিবীর কাছে পরিচিতি পাবে।
ছোটবেলায় আমাদের স্কুলে যেমন বিভিন্ন সাবজেক্ট ছিল সে রকম ই ডিজিটাল মার্কেটিং আমাদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাবজেক্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ডিজিটাল মার্কেটিং করে অনেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন। কিন্তু এই ডিজিটাল মার্কেটিং করার অনেক পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার টার্গেট কাস্টমার পেতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ১০ টি কৌশল যা আপনাকে আপনার জীবন বদলে দেবে।
১) আপনার কাস্টমার / শ্রোতাদের ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিষয় শিক্ষিত করতে হবে
সোশ্যাল মিডিয়া এ আপনার লক্ষ যাই হোক না কেন অবশ্যই আপনার শ্রোতাদের শিক্ষিত করতে হবে। আপনি যদি আপনার মূল্যবান মতামত ,মূল্যবান তথ্য বা ব্যবহারিক পরামর্শ প্রদান করেন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ,তাহলে অবশ্যই আপনার অনুগামীরা আপনাকে শুনবে এবং এর সাথে সাথে আপনাকে আরো বিশ্বস্ত হয়ে উঠতে হবে।আপনি আপনার অনুগামিদের শিক্ষিত করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এর হেল্প নিতে পারেন বা ব্লগ ,পোস্ট ,ওয়েবিনার এর মাধ্যমেও শিক্ষা প্রদান করতে পারেন।
২) গল্পের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করা
শিক্ষা প্রদানের অর্থ হলো কোনোকিছু বিক্রির আগে সে বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করা বা গল্পের মাধ্যে বিক্রি জাত বস্তুটির উপকারিতার বিষয় সবাইকে জানানো। আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের বেশিরভাগ টাই অনুভূতি ভিত্তিক তাই গল্প গুলিকে এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে সেগুলি একটি ট্রিগার হিসাবে কাজ করে।
৩) বৈচিত্রময় বিষয় বস্তু আনুন যাতে আপনার শ্রোতারা উৎসাহিত হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে জনপ্রিয় করার জন্য যেমন ইনস্টাগ্রাম এ ছবি পোস্ট টুইটার ফেইসবুক এ ছবি পোস্ট করেন তেমন ই সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার প্রোডাক্ট জনপ্রিয় করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন ধরণের পোস্ট, ব্লক লিখতে হবে,ভিডিও তৈরী করতে হবে। এক ই বিষয়বস্তুর উপর পোস্ট ,ব্লগ,ভিডিও আপনার দর্শক দেড় বিরক্ত করতে পারে। তাই বিভিন্ন টপিক এর উপর নানারকম ব্লগ লিখুক ভিডিও বানান এতে আপনার অভিজ্ঞতা বাড়বে এবং আপনার দর্শকরাও আপনার সাথে জুড়ে থাকবে।
৪) সংযুক্ত মাধ্যমে বা অংশীদারি ভাবে ব্যবসা করুন
আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথম এসেছেন আপনাকে কেউ চেনে না। তাই এমন একজন এর সাথে যুক্ত হন যার ফেস ভ্যালু আছে যাকে সবাই মোটামুটি চেনে।যারা সোশ্যাল মিডিয়া এ খুব জনপ্রিয় তাদের শ্রোতা আপনার থেকে অনেক বেশি। তাই তাদের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করলে তাদের শ্রোতারাও আপনাকে চিনতে শুরু করবে এবং তাদের বোঝানো সহজ হবে।
৫)জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া আপ ব্যবহার
আপনাকে জনপ্রিয়তা পাবার জন্য বা খুব কম সময় বহু জনগণের কাছে পৌঁছনোর জন্য জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া এপ্লিকেশন ব্যবহার করতে হবে। এবং আপনাকে বুজতে হবে আপনার টার্গেট কাস্টমার কোন অ্যাড গুলি দেখা পছন্দ করছে। আপনি যত সোশ্যাল মিডিয়া একটিভ হবেন তত আপনার প্রোডাক্ট সমন্ধে সবাই জানবে।এই সোশ্যাল মিডিয়া আপনার মিডিয়া বা আপনার প্রোডাক্ট এর জনপ্রিয়তা পাবার মাধ্যম হিসাবে কাজ করবে।
৬) ভার্চুয়াল মাধ্যমকে আপনার ব্যবসাতে ব্যবহার করুন
আপনার প্রোডাক্ট ভার্চুয়াল মাধ্যমে সকলের কাছে তুলে ধরুন। ভার্চুয়াল মাধ্যম ভোক্তাদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে। ইনস্টাগ্রাম, টিকটক এসব সোশ্যাল মিডিয়া এ ভিডিও করে পোস্ট করুন। আপনার মোবাইল ক্যামেরা অন করে প্রোডাক্ট এর বিভিন্ন উপকারিতা সম্মন্ধে গুছিয়ে বলুন এবং এমন ভাবে ভিডিওর মাধ্যমে ডিটেলস বলবেন যাতে প্রোডাক্ট এর উপর কাস্টমার এর কোনো প্রশ্ন না থাকে। ভার্চুয়াল ব্যবহার এর মাদ্ধমে আপনি আপনার কাস্টমার দেড় কেনার ইচ্ছাকে প্রভাবিত করতে পারবেন।
৭) ভিডিও এবং লাইভ স্ট্রিমিং অত্যন্ত জরুরি
ভিডিও এবং লাইভ স্ট্রিমিং এখন আর নতুন নয়। গত কয়েক বছরে এটির উপর করা গবেষণা এটির কার্যকারিতা ও এটির আবেদন প্রমান করেছে। এটির স্পষ্টতই দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এটির ব্যবহার আগে তেমন ছিলনা। কিন্তু ২০২০ সালের মহামারীর পর থেকে লাইভ স্ট্রিমিং ভিডিও এসব দেখার ও শোনার দর্শক বেড়েছে এবং এখনো বেড়েই চলেছে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এ এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে অবশ্যই জনপ্রিয়তা পাবেন।বিশেষ করে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাদ্ধমে ডিজিটাল মার্কেটিং এ আপনারা রিয়েল টাইম শ্রোতাদের প্রতিক্রিয়া পাবেন। যার ফলে আপনারা তাদের পছন্দ সম্পর্খে অবগত হবেন।
৮) গোপনীয়তা বা এক্সক্লুসিভিটি ব্যবহার করুন
মানুষের মনে সিক্যুরিটি বা ডেটা গোপনীয়তা সম্মন্ধে দিন দিন উদ্বেগ বাড়ছে।সোশ্যাল মিডিয়া এ দিন দিন জালিয়াতির সংখ্যা বাড়ছে। তাই আপনি আপনার শ্রোতা বা দর্শক দের সাথে জুড়ে থাকার আরো নিরাপদ কিছু সেটিংস ব্যবহার করতে পারেন। এর অর্থ হল ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার কারীদের জন্য “ক্লোজ ফ্রেন্ডস “ তালিকা তৈরী করা ফেইসবুক বা লিংকইন গ্রুপ শুরু করা বা সরাসরি বার্তা ব্যবহার করা এটি আপনার অনুগামীদের সাথে জড়িয়ে থাকতে সাহায্য করে।
৯) আপনার প্রতিযোগীদের সোশ্যাল মিডিয়া বিষয়বস্তু এবং তাদের বিজনেস এর পদ্ধতি পরীক্ষা করুন
অনুপ্রাণিত হওয়ার একটি সহজ উপায় হল আপনার প্রতিযোগীরা কী করছে তা দেখা এবং কোন বিষয়বস্তু ভাল পারফর্ম করছে তা দেখা। আপনার ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট এর মধ্যে নিত্যনতুন বা মূল্যবান কিছু অফার রাখতে হবে যাতে তা আপনার দর্শক দের আকৃষ্ট করে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে আপনাকে আপনার ফিল্ডের কোম্পানিগুলির সব বিজনেস করার পদ্ধতি মেনে চলতে হবে তারা যেমন করছে । আপনার সোশ্যাল মিডিয়া লক্ষ্য নির্ধারণ করার সময় আপনাকে কিছু বিসনেস স্ট্রাটেজি লক্ষ্য করতে হবে সেই সব কোম্পানির যারা আপনার সমান আকারের।
১০) চ্যাটবট ব্যবহার করুন
চ্যাটবট আমাদের কাছে একটি হাতিয়ার এর মতো। এই চ্যাটবট গুলি কথাপোকথন শুরু করতে অসম্ভাব্য বিক্ক্রয় কে উৎসাহিত করতে ,প্রশ্নের উত্তর দিতে ,সহায়তা প্রদান করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই সমস্ত কারণে এই চাটবোট গুলি সোশ্যাল মিডিয়া এ অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। social media marketing ideas
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ১০ টি পদ্ধতি ব্যবহার করলে আশাকরি আপনারা মানুষের কাছাকাছি খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছতে পারবেন এবং আপনার বিসনেস এ খুব ভালো উন্নতি হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি? – CLICK NOW
কেন করবো ডিজিটাল মার্কেটিং – CLICK NOW
Join Community – Click Here